ব্রান্ডিং কি? এটা কি শুধু বড় কোম্পানির জন্য?
ব্রান্ডিং বলতে আমরা কি বুঝি? একটা ভালো লোগো, ওয়েবসাইট, ব্যানার, বিলবোর্ড, লোগো সম্বলিত মগ অথবা টি শার্ট?
মোটেই এগুলা ব্রান্ডিং না, এগুলা শুধু মাত্র আপনার কোম্পানিকে ব্র্যান্ড হতে সহযোগিতা করবে মাত্র, যেটাকে বলা হয় ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি।
তাহলে ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটা কেমন?
আমার কাছে ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটা কোন ফিজিক্যাল ব্যাপার মনে হয় না, এটা সম্পূর্ণভাবেই মানুষের মনের ভিতর বসবাস করে, একটা অনুভুতি, একটা বিশ্বাস, বিশ্বাস না বলে আত্মবিশ্বাস বললে আরো ভালোভাবে বুঝা যায়, আমি একটা কোম্পানি থেকে একটা প্রডাক্ট কিনবো অথবা সার্ভিস আর কেনার আগেই আমি জানি, আমার মন বলে, আমি আত্মবিশ্বাসী থাকি যে, যে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস আমি নিচ্ছি এটা অবশ্যই ভালো হবে।
নাম বলবো না, শুধু উদাহারন হিসেবে বুঝানোর জন্য আমার যখন কম্পিউটারের জন্য কোন কিছু কিনতে প্রয়োজন হয় তখন আমি বেশিরভাগ সময় ই একটা নির্দিষ্ট দোকানে যাই, কারন উপরে উল্লেখ করেছি। এর থেকে যা হয় তাতে আমার মন প্রশান্তি পায় যে আমি যেটা কিনেছি সেটা ভালো হবে, এরা মানুষকে ঠকায় না, এদের কাস্টোমার সার্ভিস ভালো ইত্যাদি। ক্রেতার মনে এরকম একটা ফিলিংস তৈরি হওয়াকেই আমি ব্র্যান্ডিং বলতে চাই। অনেকেই আমার সাথে একমত না ই হতে পারেন তবে আমার এটা ধারনা।
এটা গেলো ক্রেতা হিসেবে আমার মনভাব একটা কোম্পানি সম্পর্কে কি রকম সেটা, এখন ক্রেতা হিসেবে এই যে আমার মনভাবগুলো তৈরি হলো সেটা কিন্তু এমনি এমনিই হয় নাই, তার ফলে সব অবদান ছিলো সেই কোম্পানির, সেই কোম্পানি শুরু থেকেই কাস্টোমারকে ভালো প্রোডাক্ট দিয়েছে, ভালো কাস্টোমার কেয়ার দিয়েছে, ক্রেতার মনে বিশ্বাসের জায়গাটা করে নিয়েছে, সেটাই জরুরি, এখানে আপনাকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে ব্রান্ডিং করতে হবে সেটা কিন্তু না, আপনি অনেক অল্প বাজেট দিয়েও আপনার ছোট বিজনেস নিয়ে মানুষের বিশ্বাসেরে জায়গাটা করে নিতে পারবেন।
কিভাবে হতে পারে এই বিশ্বাসের জায়গাগুলো তৈরি?
কিছু পয়েন্ট নোট আকারে দিচ্ছি;
একদম শুরু থেকেই ভালো প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস দেন, হতে পারে তাহলে প্রথম দিকে লাভ একটু কম হবে তবে ভালো প্রডাক্ট দিবেন। তবে প্রোডাক্টের মানের সাথে যেহেতু আবার দামের একটা কানেকশন আছে তাই আপনি ক্রেতার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন মানের প্রোডাক্ট দিতে পারেন, তবে এখানে খেয়াল রাখতে হবে ঠিক জায়গায় ঠিক মানুষ যেন আপনার প্রডাক্ট দেখতে পায়, অথবা আপনি ইচ্ছা করলে কিছু নির্দিষ্ট মানুষের কথা চিন্তা করে প্রোডাক্ট দিতে পারেন, সার্ভিসের খেত্রেও ব্যাপার টা অনেকটা এরকম ই।
কাস্টোমারের লাইফ স্টাইলে সম্পর্কে জানুন;
যদি অনলাইনে বিজনেস করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাস্টোমারের লাইফস্টাইল সম্পর্কে জানা থাকা লাগবে এবং সে অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে, সব সময়ই বলে থাকি প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সেল করছেন এগুলার বাইরেও বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট তৈরি করতে আপনাকে, সে জন্য যাদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করছেন তাদের লাইফ স্টাইলে জানা প্রয়োজন।
মার্কেটে আমার দ্বিতীয় বইটি পাওয়া যাচ্ছে "মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং" সেখানে ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করতে হয় সেটার সাথে অন্য মার্কেটপ্লেসে কিভাবে মার্কেটিং করা যায় সেটা জানতে পারবেন, জানতে পারবেন ব্র্যান্ডিং নিয়েও অনেক কিছু। নিতে আগ্রহী হলে ইনবক্স করতে পারেন।
কাস্টমার সার্ভিস অবশ্যই ভালো হতে হবে
কাস্টমার সার্ভিস অবশ্যই ভালো হতে হবে, আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ক্রেতাকে সার্ভিস দিচ্ছেন তাহলে লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের কমেন্ট এবং ম্যাসেজের উত্তর যতটা দ্রুত দেয়া যায়, চ্যাটিং করার সময় লেখাতে রবোটিক ভাব আসাটা মোটেও ভালো নয়, মনে করতে হবে আপনি তার সাথে সামনা সামনি কথা বলছেন আন্তরিকতার সাথে।
অনেক কাস্টোমার থাকবে তারা আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস নিয়ে অসন্তুষ্ট হতেই পারে আর সে জন্য তারা আপনার মেসেঞ্জারে অভিযোগ করে ম্যাসেজ করতেই পারে, এটাকে খারাপ ভাবে না নিয়ে বরং ভালোভাবে নিতে হবে কারন তাদের অভিযোগ থেকেই আপনি নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করার সুযোগ পাবেন। কেউ অভিযোগ করলে সেটা যদি আপনাদের কাছে সত্যিও না মনে হয় তাহলে বিনয়ের সাথে তাকে বুঝিয়ে বলুন, কোনভাবেই তাদের সাথে রুক্ষ ব্যবহার করা যাবে না।
রিটার্ন পলিসি, রিফান্ড পলিসি রাখুন;
অনেকেই রাখছেন এগুলি সেটা আমি জানি তবে এ ক্ষেত্রে যেটা বলতে পারি সেটা হচ্ছে এগুলার শর্ত আরো সহজ করা যায় কিনা সেটা চিন্তা করুন, মনে রাখবেন কাস্টোমার যত সহজে আপনার সার্ভিসটি পাবে সে তত আপনার উপর নির্ভরশীল হবে।
আলাদা করে কিছু করার চেস্টা করুন;
আপনি লাইভ করছেন ঠিক আছে, তবে চেস্টা করুন সেখানে অন্যকিছু করা যায় কিনা, সবাই যেরকম ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করছে সেটা না করে নিজের মত অন্যরকম কিছু করা যায় কিনা, অথবা সবাই যেমন ফটোগ্রাফি করছে সেখানে আলাদা ভাবে কিছু করা যায় কিনা, বলতে চাচ্ছি এমন ভাবে আগানোর চেস্টা করুন যেন কাস্টোমার আপনাকে অনেক ভিড়ের মধ্যেও আলাদা করে চিনতে পারে, অনেক দূর থেকেও বুঝতে পারে এটা আপনার কোম্পানি, চিন্তা করুন ১ লক্ষ লাল ছাতার মাঝে যদি ১০-১২ টা হলুদ ছাতা থাকে তাহলে কিন্তু সেগুলা আগে মানুষের চোখে পরবে।
শেষে যেটা বলতে চাই, আমার কাছে একটা কোম্পানিকে ব্র্যান্ড করতে যাওয়াই মানে টাকা আর টাকা না। আপনি লাখ লাখ টাকা খরচ করে যদি ভুল উপায়ে কাজ করেন আপনার কোম্পানি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠবে না কিন্তু আপনি যদি সঠিক প্ল্যান করে এগুতে পারেন তাহলে আপনার খরচও কম হবে আবার আপনার বিজনেস মানুষের মনের ভিতর জায়গা তৈরি করে নিবে।
ব্রান্ডিং বলতে আমরা কি বুঝি? একটা ভালো লোগো, ওয়েবসাইট, ব্যানার, বিলবোর্ড, লোগো সম্বলিত মগ অথবা টি শার্ট?
মোটেই এগুলা ব্রান্ডিং না, এগুলা শুধু মাত্র আপনার কোম্পানিকে ব্র্যান্ড হতে সহযোগিতা করবে মাত্র, যেটাকে বলা হয় ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি।
তাহলে ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটা কেমন?
আমার কাছে ব্র্যান্ডিং এর ব্যাপারটা কোন ফিজিক্যাল ব্যাপার মনে হয় না, এটা সম্পূর্ণভাবেই মানুষের মনের ভিতর বসবাস করে, একটা অনুভুতি, একটা বিশ্বাস, বিশ্বাস না বলে আত্মবিশ্বাস বললে আরো ভালোভাবে বুঝা যায়, আমি একটা কোম্পানি থেকে একটা প্রডাক্ট কিনবো অথবা সার্ভিস আর কেনার আগেই আমি জানি, আমার মন বলে, আমি আত্মবিশ্বাসী থাকি যে, যে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস আমি নিচ্ছি এটা অবশ্যই ভালো হবে।
নাম বলবো না, শুধু উদাহারন হিসেবে বুঝানোর জন্য আমার যখন কম্পিউটারের জন্য কোন কিছু কিনতে প্রয়োজন হয় তখন আমি বেশিরভাগ সময় ই একটা নির্দিষ্ট দোকানে যাই, কারন উপরে উল্লেখ করেছি। এর থেকে যা হয় তাতে আমার মন প্রশান্তি পায় যে আমি যেটা কিনেছি সেটা ভালো হবে, এরা মানুষকে ঠকায় না, এদের কাস্টোমার সার্ভিস ভালো ইত্যাদি। ক্রেতার মনে এরকম একটা ফিলিংস তৈরি হওয়াকেই আমি ব্র্যান্ডিং বলতে চাই। অনেকেই আমার সাথে একমত না ই হতে পারেন তবে আমার এটা ধারনা।
এটা গেলো ক্রেতা হিসেবে আমার মনভাব একটা কোম্পানি সম্পর্কে কি রকম সেটা, এখন ক্রেতা হিসেবে এই যে আমার মনভাবগুলো তৈরি হলো সেটা কিন্তু এমনি এমনিই হয় নাই, তার ফলে সব অবদান ছিলো সেই কোম্পানির, সেই কোম্পানি শুরু থেকেই কাস্টোমারকে ভালো প্রোডাক্ট দিয়েছে, ভালো কাস্টোমার কেয়ার দিয়েছে, ক্রেতার মনে বিশ্বাসের জায়গাটা করে নিয়েছে, সেটাই জরুরি, এখানে আপনাকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে ব্রান্ডিং করতে হবে সেটা কিন্তু না, আপনি অনেক অল্প বাজেট দিয়েও আপনার ছোট বিজনেস নিয়ে মানুষের বিশ্বাসেরে জায়গাটা করে নিতে পারবেন।
কিভাবে হতে পারে এই বিশ্বাসের জায়গাগুলো তৈরি?
কিছু পয়েন্ট নোট আকারে দিচ্ছি;
একদম শুরু থেকেই ভালো প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস দেন, হতে পারে তাহলে প্রথম দিকে লাভ একটু কম হবে তবে ভালো প্রডাক্ট দিবেন। তবে প্রোডাক্টের মানের সাথে যেহেতু আবার দামের একটা কানেকশন আছে তাই আপনি ক্রেতার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন মানের প্রোডাক্ট দিতে পারেন, তবে এখানে খেয়াল রাখতে হবে ঠিক জায়গায় ঠিক মানুষ যেন আপনার প্রডাক্ট দেখতে পায়, অথবা আপনি ইচ্ছা করলে কিছু নির্দিষ্ট মানুষের কথা চিন্তা করে প্রোডাক্ট দিতে পারেন, সার্ভিসের খেত্রেও ব্যাপার টা অনেকটা এরকম ই।
কাস্টোমারের লাইফ স্টাইলে সম্পর্কে জানুন;
যদি অনলাইনে বিজনেস করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাস্টোমারের লাইফস্টাইল সম্পর্কে জানা থাকা লাগবে এবং সে অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে, সব সময়ই বলে থাকি প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সেল করছেন এগুলার বাইরেও বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট তৈরি করতে আপনাকে, সে জন্য যাদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করছেন তাদের লাইফ স্টাইলে জানা প্রয়োজন।
মার্কেটে আমার দ্বিতীয় বইটি পাওয়া যাচ্ছে "মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং" সেখানে ফেসবুকে কিভাবে মার্কেটিং করতে হয় সেটার সাথে অন্য মার্কেটপ্লেসে কিভাবে মার্কেটিং করা যায় সেটা জানতে পারবেন, জানতে পারবেন ব্র্যান্ডিং নিয়েও অনেক কিছু। নিতে আগ্রহী হলে ইনবক্স করতে পারেন।
কাস্টমার সার্ভিস অবশ্যই ভালো হতে হবে
কাস্টমার সার্ভিস অবশ্যই ভালো হতে হবে, আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে ক্রেতাকে সার্ভিস দিচ্ছেন তাহলে লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের কমেন্ট এবং ম্যাসেজের উত্তর যতটা দ্রুত দেয়া যায়, চ্যাটিং করার সময় লেখাতে রবোটিক ভাব আসাটা মোটেও ভালো নয়, মনে করতে হবে আপনি তার সাথে সামনা সামনি কথা বলছেন আন্তরিকতার সাথে।
অনেক কাস্টোমার থাকবে তারা আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস নিয়ে অসন্তুষ্ট হতেই পারে আর সে জন্য তারা আপনার মেসেঞ্জারে অভিযোগ করে ম্যাসেজ করতেই পারে, এটাকে খারাপ ভাবে না নিয়ে বরং ভালোভাবে নিতে হবে কারন তাদের অভিযোগ থেকেই আপনি নিজেদের ভুলগুলো ঠিক করার সুযোগ পাবেন। কেউ অভিযোগ করলে সেটা যদি আপনাদের কাছে সত্যিও না মনে হয় তাহলে বিনয়ের সাথে তাকে বুঝিয়ে বলুন, কোনভাবেই তাদের সাথে রুক্ষ ব্যবহার করা যাবে না।
রিটার্ন পলিসি, রিফান্ড পলিসি রাখুন;
অনেকেই রাখছেন এগুলি সেটা আমি জানি তবে এ ক্ষেত্রে যেটা বলতে পারি সেটা হচ্ছে এগুলার শর্ত আরো সহজ করা যায় কিনা সেটা চিন্তা করুন, মনে রাখবেন কাস্টোমার যত সহজে আপনার সার্ভিসটি পাবে সে তত আপনার উপর নির্ভরশীল হবে।
আলাদা করে কিছু করার চেস্টা করুন;
আপনি লাইভ করছেন ঠিক আছে, তবে চেস্টা করুন সেখানে অন্যকিছু করা যায় কিনা, সবাই যেরকম ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করছে সেটা না করে নিজের মত অন্যরকম কিছু করা যায় কিনা, অথবা সবাই যেমন ফটোগ্রাফি করছে সেখানে আলাদা ভাবে কিছু করা যায় কিনা, বলতে চাচ্ছি এমন ভাবে আগানোর চেস্টা করুন যেন কাস্টোমার আপনাকে অনেক ভিড়ের মধ্যেও আলাদা করে চিনতে পারে, অনেক দূর থেকেও বুঝতে পারে এটা আপনার কোম্পানি, চিন্তা করুন ১ লক্ষ লাল ছাতার মাঝে যদি ১০-১২ টা হলুদ ছাতা থাকে তাহলে কিন্তু সেগুলা আগে মানুষের চোখে পরবে।
শেষে যেটা বলতে চাই, আমার কাছে একটা কোম্পানিকে ব্র্যান্ড করতে যাওয়াই মানে টাকা আর টাকা না। আপনি লাখ লাখ টাকা খরচ করে যদি ভুল উপায়ে কাজ করেন আপনার কোম্পানি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে উঠবে না কিন্তু আপনি যদি সঠিক প্ল্যান করে এগুতে পারেন তাহলে আপনার খরচও কম হবে আবার আপনার বিজনেস মানুষের মনের ভিতর জায়গা তৈরি করে নিবে।