ফেসবুক অ্যাড বাজেটে কেন প্ল্যান দরকার?
ফেসবুক অ্যাড, যারা ই কমার্স বিজনেস করেন তাদের জন্য একরকম অক্সিজেনের মতই একটি ব্যাপার। হ্যাঁ এটা সত্যি একটি সময় ছিলো যখন অরগানিক ভাবে পোস্ট করলেও অনেক সেল পাওয়া যে কিন্তু এখন অরগানিক পোস্ট খুব একটা বেশি অপ্টিমাইজ হয় না, তাই প্রায় সবাইকেই ফেসবুক অ্যাডের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়।
তো যারা বিজনেস করছেন, সবাই অ্যাড তো দিচ্ছেন, কেউ নিজেরটা নিজে দিচ্ছেন, কেউ এজেন্সির মাধ্যমে দিচ্ছেন তবে সঠিক ভাবে দিচ্ছেন কিনা সেটা নিয়েই আজকের এই লেখা।
**সঠিক ভাবে ফেসবুকে অ্যাড দেয়ার অনেক ব্যাপার আছে, যেমন **
সঠিক অ্যাড অবজেক্টিভ নির্বাচন করা
সঠিক অ্যাড ফরম্যাট নির্ধারন করা
সঠিক ভাবে অডিয়েন্স নির্ধারন করা
সঠিক ভাবে অডিয়েন্স টার্গেটিং করা
সঠিক প্লেসমেন্ট ঠিক মত দেয়া
সঠিক ভাবে বাজেট প্ল্যান করা
সবার শেষের পয়েন্ট নিয়ে আজকের এই আলোচনা, কারন এই পয়েন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা ফেসবুক অ্যাড কি স্টাইলে দিচ্ছি
কিছু প্রোডাক্ট কালেকশন করছি, পেইজে দিচ্ছি, এখন তো সেল হতে হবে, তাই অ্যাড দেয়া প্রয়োজন, কিছু বাজেট ঠিক করে নির্দিষ্ট একটি পোস্ট অ্যাডে দিয়ে দিচ্ছি এবং এভাবেই চলছে, স্টক আউট হচ্ছে, নতুন স্টক হচ্ছে সেটা আবার অ্যাডে দিচ্ছি। এটাকে আমি সঠিক অ্যাড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ফেলতে চাই না।
তাহলে আমার কাছে সঠিক কোনটা
আপনাকে সম্পূর্ণ প্ল্যানটা আগে থেকেই করে ফেলতে হবে, কমপক্ষে এক মাস আগে থেকেই। হ্যাঁ প্ল্যান করলে সেটা পরিবর্তন করা যাবে এরকম না কিন্তু, আর প্ল্যান পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে বলেই কিন্তু আমরা প্ল্যান এ, প্ল্যান বি ইত্যাদি বলে থাকি এবং বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই কাজ হয়ে থাকে। আপনি নিজেও নিজের বিজনেসের জন্য প্ল্যান এ, প্ল্যান বি এরকম করে কাজ করুন। প্ল্যান এ ঠিক মত কাজ না করলে প্ল্যান বি নিয়ে কাজ করা শুরু করুন। যেমন
ধরুন প্ল্যান এ তে আপনি ঠিক করে রেখেছেন আপনি মাসে ৫ টি অ্যাড দিবেন, প্রতিটি অ্যাডের সময়কাল হবে ৬ দিন করে, ৫টি অ্যাডে ৫ রকমের প্রোডাক্ট অথবা অফার থাকবে, বাজেট থাকবে প্রতিটি অ্যাডে ২০ ডলার করে।
প্ল্যান করলেন, এখন সেটা কাজে লাগাবেন, ২০ ডলারের একটি অ্যাড দিলেন, ৬ দিন ঠিক করে, প্ল্যান অনুযায়ী আপনার অ্যাড ৬ দিন পর কমপ্লিট হয়ে যাবার কথা, আপনি অন্য একটি প্রোডাক্ট অথবা অফার নিয়ে কাজ করবেন, কিন্তু আপনি দেখতে পেলেন ৬ দিনের দিনও আপনার অ্যাডটি ভালো প্ল্যান করছে, আপনি প্রচুর সাড়া পাচ্ছেন, তাহলে সেখানে অ্যাড বন্ধ করে দিলে বোকামি হবে, আপনি প্ল্যান বি তে চলে যান, যেটা আপনি একটু অন্যরকম ভাবে সাজিয়েছেন, অর্থাৎ এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে আপনি কি করবেন?
অ্যাডের বাজেট বাড়বেন তাহলে অন্য অ্যাডের প্ল্যানের কি হবে, সেগুলিতে বাজেট কমিয়ে আনবেন? সেটাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে সম্পূর্ণ মাসের বাজেট কমিয়ে দিবেন? অথবা কোন অ্যাড থেকে যদি ভালো রেস্পন্স না পান তাহলে সেটা বন্ধ করে দিবেন? অন্য অ্যাডে অ্যাডজাস্ট করবেন?
আপনাকে প্ল্যান এ, বি, সি এরকভাবে কাজ করতে হবে তবে হ্যাঁ যে কোন সময় তাৎক্ষণিক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা কিনা প্ল্যান এ, বি, সি কোনটার মধ্যেই পড়বে না, তবে প্ল্যান ছাড়া শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেটের মত এতো বড় একটি ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়।
আরেকটি ব্যাপার দিয়ে শেষ করতে চাই এই লেখা সেটি হচ্ছে আপনার প্ল্যানিং সব বাজেট সেল পোস্টের জন্য না রেখে বিভিন্ন ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট, এঙ্গেজমেন্টমূলক কন্টেন্টের উপর রাখা উচিত হবে। কারন ফেসবুক একটি সোশ্যাল মিডিয়া তাই ফেসবুক ইউজারের সাথে কমিউনিকেশন করতে হলে আপনাকে সোশ্যাল ভাবে তাদের কাছে যেতে হবে।
ফেসবুক অ্যাড, যারা ই কমার্স বিজনেস করেন তাদের জন্য একরকম অক্সিজেনের মতই একটি ব্যাপার। হ্যাঁ এটা সত্যি একটি সময় ছিলো যখন অরগানিক ভাবে পোস্ট করলেও অনেক সেল পাওয়া যে কিন্তু এখন অরগানিক পোস্ট খুব একটা বেশি অপ্টিমাইজ হয় না, তাই প্রায় সবাইকেই ফেসবুক অ্যাডের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়।
তো যারা বিজনেস করছেন, সবাই অ্যাড তো দিচ্ছেন, কেউ নিজেরটা নিজে দিচ্ছেন, কেউ এজেন্সির মাধ্যমে দিচ্ছেন তবে সঠিক ভাবে দিচ্ছেন কিনা সেটা নিয়েই আজকের এই লেখা।
**সঠিক ভাবে ফেসবুকে অ্যাড দেয়ার অনেক ব্যাপার আছে, যেমন **
সঠিক অ্যাড অবজেক্টিভ নির্বাচন করা
সঠিক অ্যাড ফরম্যাট নির্ধারন করা
সঠিক ভাবে অডিয়েন্স নির্ধারন করা
সঠিক ভাবে অডিয়েন্স টার্গেটিং করা
সঠিক প্লেসমেন্ট ঠিক মত দেয়া
সঠিক ভাবে বাজেট প্ল্যান করা
সবার শেষের পয়েন্ট নিয়ে আজকের এই আলোচনা, কারন এই পয়েন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা ফেসবুক অ্যাড কি স্টাইলে দিচ্ছি
কিছু প্রোডাক্ট কালেকশন করছি, পেইজে দিচ্ছি, এখন তো সেল হতে হবে, তাই অ্যাড দেয়া প্রয়োজন, কিছু বাজেট ঠিক করে নির্দিষ্ট একটি পোস্ট অ্যাডে দিয়ে দিচ্ছি এবং এভাবেই চলছে, স্টক আউট হচ্ছে, নতুন স্টক হচ্ছে সেটা আবার অ্যাডে দিচ্ছি। এটাকে আমি সঠিক অ্যাড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ফেলতে চাই না।
তাহলে আমার কাছে সঠিক কোনটা
আপনাকে সম্পূর্ণ প্ল্যানটা আগে থেকেই করে ফেলতে হবে, কমপক্ষে এক মাস আগে থেকেই। হ্যাঁ প্ল্যান করলে সেটা পরিবর্তন করা যাবে এরকম না কিন্তু, আর প্ল্যান পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে বলেই কিন্তু আমরা প্ল্যান এ, প্ল্যান বি ইত্যাদি বলে থাকি এবং বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই কাজ হয়ে থাকে। আপনি নিজেও নিজের বিজনেসের জন্য প্ল্যান এ, প্ল্যান বি এরকম করে কাজ করুন। প্ল্যান এ ঠিক মত কাজ না করলে প্ল্যান বি নিয়ে কাজ করা শুরু করুন। যেমন
ধরুন প্ল্যান এ তে আপনি ঠিক করে রেখেছেন আপনি মাসে ৫ টি অ্যাড দিবেন, প্রতিটি অ্যাডের সময়কাল হবে ৬ দিন করে, ৫টি অ্যাডে ৫ রকমের প্রোডাক্ট অথবা অফার থাকবে, বাজেট থাকবে প্রতিটি অ্যাডে ২০ ডলার করে।
প্ল্যান করলেন, এখন সেটা কাজে লাগাবেন, ২০ ডলারের একটি অ্যাড দিলেন, ৬ দিন ঠিক করে, প্ল্যান অনুযায়ী আপনার অ্যাড ৬ দিন পর কমপ্লিট হয়ে যাবার কথা, আপনি অন্য একটি প্রোডাক্ট অথবা অফার নিয়ে কাজ করবেন, কিন্তু আপনি দেখতে পেলেন ৬ দিনের দিনও আপনার অ্যাডটি ভালো প্ল্যান করছে, আপনি প্রচুর সাড়া পাচ্ছেন, তাহলে সেখানে অ্যাড বন্ধ করে দিলে বোকামি হবে, আপনি প্ল্যান বি তে চলে যান, যেটা আপনি একটু অন্যরকম ভাবে সাজিয়েছেন, অর্থাৎ এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে আপনি কি করবেন?
অ্যাডের বাজেট বাড়বেন তাহলে অন্য অ্যাডের প্ল্যানের কি হবে, সেগুলিতে বাজেট কমিয়ে আনবেন? সেটাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে সম্পূর্ণ মাসের বাজেট কমিয়ে দিবেন? অথবা কোন অ্যাড থেকে যদি ভালো রেস্পন্স না পান তাহলে সেটা বন্ধ করে দিবেন? অন্য অ্যাডে অ্যাডজাস্ট করবেন?
আপনাকে প্ল্যান এ, বি, সি এরকভাবে কাজ করতে হবে তবে হ্যাঁ যে কোন সময় তাৎক্ষণিক কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা কিনা প্ল্যান এ, বি, সি কোনটার মধ্যেই পড়বে না, তবে প্ল্যান ছাড়া শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেটের মত এতো বড় একটি ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়।
আরেকটি ব্যাপার দিয়ে শেষ করতে চাই এই লেখা সেটি হচ্ছে আপনার প্ল্যানিং সব বাজেট সেল পোস্টের জন্য না রেখে বিভিন্ন ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট, এঙ্গেজমেন্টমূলক কন্টেন্টের উপর রাখা উচিত হবে। কারন ফেসবুক একটি সোশ্যাল মিডিয়া তাই ফেসবুক ইউজারের সাথে কমিউনিকেশন করতে হলে আপনাকে সোশ্যাল ভাবে তাদের কাছে যেতে হবে।